শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:১৮ অপরাহ্ন
দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি ও বরগুনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুল আলম মাননুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা ও ষড়যন্তমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
বুধবার (১ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্মেলন কক্ষে মাননুর পক্ষে বরগুনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাফিন একটি সংবাদ সম্মেলন পত্র পাঠ করেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে উকিল পট্টি সাংকাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মূল সড়কে দাঁড়িয়ে ঘন্টাব্যাপি এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এসময় বরগুনা জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী উপস্তিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সঞ্জিব দাসের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইচ বুকে (ছবিসহ) হোমিও ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ সাহেবের এই হোমিও ওষুধ সেবন করলে তিন দিনে মানব শরীরে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যাহা ১৩ শ’ পুলিশ সদস্যকে বিতরণ করেছেন এবং আগ্রহী ব্যক্তিদের তথ্য জানার জন্য তাহার মোবাইল নং ০১৭১৫২৭৫৫১৫ তে যোগাযোগ করতে পারেন। এমন বিজ্ঞাপন সাধারণ মানুষের অর্থ খোয়া ও হয়রানী ছাড়া আর কিছুইনা। এমন চিন্তা করে এই ব্যাপারে সাংবাদিক মাহবুবুল আলম মাননু ফেসবুক স্টাটাসে লিখেছেন বরগুনা প্রেসক্লাবের কর্ণধার কত টাকায় বুকট হয়ে ডাক্তার সাহেবের ওষুধটি পাবলিসিটি করেছেন? যাহা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ। তাই মান্নু জনস্বার্থে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। কিন্তু তার মামলাটি রেজিষ্ট্রার করা হয়নি। উপরন্তু তুচ্ছ ঘটনার অযুহাত দেখিয়ে সাংবাদিক মাননুর বিরুদ্ধে গত ১৭ জুন বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোঃ সালেহ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে সাংবাদিক মাননু তথ্য অধিকার আইনে তার করা মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে বরগুনা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে একটি পত্র প্রেরণ করেন। যার কোন উত্তর তিনি এখনও পাননি।
বরগুনা সদর থানায় মাননুর দায়েরকৃত আমলযোগ্য অপরাধের এজাহার নিয়মিত না করায় পুলিশ সুপার বরাবরেও বরগুনা প্রধান ডাকঘর থেকে ২৫৬ নং রেজিস্ট্রিকৃত লিখিত একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছিলেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলন পত্রটিতে আরও উল্লেখ করেন, পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) ২৪৪ (ক) বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর কোন আমলযোগ্য অপরাধের এজাহার দাখিল করা হলে তা রেকর্ড করতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু মাননুর করা মামলা রেকর্ড না করে গোপনসূত্রে জেনে পাল্টা মামলা করা হলে তা রেকর্ড করা হয়। জনগণের স্বার্থে পুলিশি সহায়তা না পেয়ে উল্টো ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় সাংবাদিক মাননু হয়রানীর স্বীকার হয়ে আজ মানষিক যন্ত্রণায় ভূগছেন। এভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারায় ফেলে সাংবাদিকদের হয়রানী করলে মুখ থুবরে পড়তে হবে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম তথা সংবাদকর্মীদের। তাই এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সাংবাদিক মাহবুবুল আলম মাননু।